চিনি মানে এককথায় সাদা বিষ⁉️

চিনি আমাদের অনেকের নিত্যদিনের খুবই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। নিজেরা তো প্রতিনিয়ত খাচ্ছিই এবং সাথে বাড়ির ছোটদের হাতে ও তুলে দিচ্ছি।

কিন্তু চিনি খেয়ে শরীরের কী সর্বনাশ ঘটাচ্ছি আমরা। তা যদি জানতাম তাহলে খাবার না বলে, বিষ বলে ছুঁড়ে ফেলে দিতাম আমরা।

ঝুলে যাওয়া ত্বক

চিনি খেলে চেহারা ঝুলে পড়ে এবং খুব সহজে ত্বকে ভাঁজ পড়ে যায়।

ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যাওয়া

ব্রণের সাথে চিনির খুবই ভালো যোগ সূত্র রয়েছে ।

চিনিযুক্ত খাবার যত খাবেন, তত চেহারা ও শরীরে ব্রণ-একনের সমস্যা বাড়বে। বিশ্বাস না হলে নিজেই পরীক্ষা করে দিতে পারেন।

চিনি খেলে দাঁতের ক্ষত বৃদ্ধি পায়।

পেটের চর্বি বাঁড়ার মূল কারণ চিনি। ডাক্তারদের মতে, এই চর্বিটিই হলো দেহের সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক।

চিনি খাওয়ার ফলে সম্ভবত এই রোগ টা সবথেকে বেশি পরিচিত

আমাদের সাথে।

লিভারের একটি কাজ হলো-চিনিকে ফ্যাটে পরিণত করে জমিয়ে রাখা। অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি খেলে শরীরে চর্বি জমাট বেঁধে যায়।একেই বলে ফ্যাটি লিভার।

চিনিজাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি বাড়ে যায়।

চিনি এমন একটি খাবার যা পুষ্টিগুণ বিহীন। চিনি তে না আছে মিনারেল, না আছে প্রোটিন, না আছে ফাইবার-

তাই এধরণের কোনো কিছুই নেই । ফলে চিনিজাতীয় খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখবেন, আপনার খিদে লেগে যাবে।

অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে,

আপনার মনের ওপরও কিন্তু চিনির প্রভাব পড়ে থাকে।

সবকিছু জানা সত্বেও আপনি চিনি খাওয়া কোনভাবে কমাতে পারছেন না! এটাই তো ভাবছেন?

কারণ চিনি আসক্তি সৃষ্টি করে এবং তা পানির মতো আপনাকে গ্রাস করে।

তাহলে এর থেকে মুক্তির উপায় ভাবছেন তো!

প্রথমেই ভেবে দেখুন, র’ সুগার বা কাঁচা চিনি আপনি কতটুকু পরিমাণ খাচ্ছেন? কখন খাচ্ছেন? কোন কোন ধরনের খাবারের সাথে খাচ্ছেন?

আরও পড়ুন ঃ

দৈনন্দিন খাবারে সাদা চিনির পরিবর্তে খেজুর এর পেস্ট ব্যবহার শুরু করুন।

চিনি থেকে মুক্তি পেতে প্রথম উদ্বেগ টা আপনি নিজেই নিন।

কাঁচা চিনি থেকে শুরু করে চিনি ব্যবহারিত সকল খাবার থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে সরিয়ে আনুন।